পৃষ্ঠা

রবিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২১

ইতিহাস কখনো ভুলে যাওয়ার নয়

 

M Gm Shajal
ইতিহাস কখনো ভুলে যাওয়ার নয়
কলকাতার বাবুরা বলেছেন,"ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় করার কোন দরকার নেই। ফার্মগেট আছে,ধানমণ্ডি আছে পাশে একটা কৃষি কলেজ করে দাও। "
এই ধরনের কায়েমী স্বার্থবাদী আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে ব্রিটিশ লর্ডের কাছে গিয়ে শেরে বাংলা ফজলুল হক বোঝালেন ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতেই হবে। এবার ব্রিটিশরা কিছুটা নমনীয় হল --- কিন্তু বিশ্বযুদ্ধের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হল একটু দেরীতে । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন শেরে বাংলা ফজলুল হক ।
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ১৯১৬ সালে মুসলিম লীগ এর সভাপতি নির্বাচিত হন । পরের বছর ১৯১৭ সালে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এর সাধারণ সম্পাদক হন । তিনিই ইতিহাসের একমাত্র ব্যক্তি যিনি একই সময়ে মুসলিম লীগ এর প্রেসিডেন্ট এবং কংগ্রেস এর জেনারেল সেক্রেটারি ছিলেন । ১৯১৮ -১৯ সালে জওহরলাল নেহেরু ছিলেন ফজলুল হকের ব্যক্তিগত সচিব ।
১৯৩৭ এর নির্বাচনে শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক ঘোষণা দিয়েছেন নির্বাচনে জিতলে তিনি জমিদারি প্রথা চিরতরে উচ্ছেদ করবেন।
তিনি যাতে নির্বাচিত হতে না পারেন তার জন্য সারা বাংলাদেশ আর কলকাতার জমিদাররা একত্র হয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন। লাভ হয়নি --- কৃষকরা তাদের নেতাকে ভোট দিয়েছেন।
মুসলিম লীগ এর লাহোর অধিবেশনে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বক্তব্য দিচ্ছেন । হঠাৎ করে একটা গুঞ্জন শুরু হলো, দেখা গেল জিন্নাহর বক্তব্যের দিকে কারও মনযোগ নাই । জিন্নাহ ভাবলেন, ঘটনা কী ? এবার দেখলেন, এক কোণার দরজা দিয়ে ফজলুল হক সভামঞ্চে প্রবেশ করছেন, সবার আকর্ষণ এখন তার দিকে । জিন্নাহ তখন বললেন --- When the tiger arrives, the lamb must give away. এই সম্মেলনেই তিনি উত্থাপন করেছিলেন ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব ।
১৯৪০ সালের ২২-২৪ শে মার্চ লাহোরের ইকবাল পার্কে মুসলিম লীগের কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এই কনফারেন্সে বাংলার বাঘ আবুল কাশেম ফজলুল হক ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তিনি তার প্রস্তাবে বলেন, হিন্দু সাম্প্রদায়িকতার বাস্তবতায় হিন্দু মুসলিম একসাথে বসবাস অসম্ভব। সমাধান হচ্ছে, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে একটি স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র এবং পূর্বাঞ্চলে বাংলা ও আসাম নিয়ে আরেকটি স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে।
পাঞ্জাবের মওলানা জাফর আলী খান, সীমান্ত প্রদেশের সর্দার আওরঙ্গজেব, সিন্ধের স্যার আব্দুল্লাহ হারুন, বেলুচিস্তানের কাজী ঈসা ফজলুল হকের প্রস্তাব সমর্থন করেন। কনফারেন্সে এই প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়।
লাহোর প্রস্তাব উত্থাপনের সময়ে হিন্দুপ্রধান প্রদেশগুলোতে মুসলিম নির্যাতনের মাত্রা বাড়তে থাকার কারণে ফজলুল হক খুবই উদ্বিগ্ন এবং কিছুটা উত্তেজিত ছিলেন। তিনি তার বক্তব্যে একবার বলেন, ‘ আমি আগে মুসলিম, পরে বাঙালী (muslim first, bengali afterwards)’। বক্তৃতার এক পর্যায়ে এসে বলেন, ‘কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলোতে যদি আর কোনো মুসলিম নির্যাতিত হয় তাহলে আমি বাংলার হিন্দুদের উপর তার প্রতিশোধ নেব।’




যে ফজলুল হক তিন বছর আগে সোহরাওয়ার্দী, নাজিমউদ্দিনকে রেখে শ্যামাপ্রসাদের সাথে কোয়ালিশন সরকার গঠন করেছেন সেই ফজলুল হকের মুখে এমন বক্তব্য তখনকার ভারতে ব্যাপক আলোড়ন সৃাষ্ট করেছিল।
বর্তমানে যে পাকিস্তান রাষ্ট্র তার ভিত্তি হচ্ছে লাহোর প্রস্তাব। তাই ২৩ শে মার্চ কে পাকিস্তানে প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
কিন্তু লাহোর প্রস্তাব পাশ হওয়ার কয়েকদিন পরে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ চালাকির আশ্রয় নেন। তিনি বলেন, প্রস্তাবটি টাইপ করার সময়ে ভুল করে muslim majority states লেখা হয়েছে; আসলে হবে state । জিন্নাহর ধারণা ছিল, দেন-দরবার করে দুই পাশে দুইটা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। তাই স্টেটস এর জায়গায় স্টেট লিখে একটা মুসলিম মেজরিটি রাষ্ট্র করতে হবে।
জিন্নাহর এই ধূর্ততার কারণে ফজলুল হক তার সাথে পাকিস্তান আন্দোলনে সম্পৃক্ত হননি। তরুণ শেখ মুজিব যখন জিন্নাহর নেতৃত্বে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তখন অভিজ্ঞ ফজলুল হক পাকিস্তানের বিরোধিতা করেছেন। 'তিঁনি অনুমান করতে পেরেছিলেন পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হলে কী কী দুর্দশা হবে বাংলার মানুষের। তাই তিঁনি পাকিস্তানের বিরোধিতা করেছেন। অসমাপ্ত আত্মজীবনী তে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন.......
"
বাংলার মাটিও তাকে ভালোবেসে ফেলেছিল। যখনই হক সাহেবের বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেছি, তখনই বাধা পেয়েছি। একদিন আমার মনে আছে একটা সভা করছিলাম আমার নিজের ইউনিয়নে, হক সাহেব কেন লীগ ত্যাগ করলেন, কেন পাকিস্তান চাননা এখন? কেন তিনি শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির সাথে মিলে মন্ত্রীসভা গঠন করেছেন? এই সমস্ত আলোচনা করছিলাম, হঠাৎ একজন বৃদ্ধ লোক যিনি আমার দাদার খুব ভক্ত, আমাদের বাড়িতে সকল সময়েই আসতেন, আমাদের বংশের সকলকে খুব শ্রদ্ধা করতেন- দাঁড়িয়ে বললেন,”যাহা কিছু বলার বলেন, হক সাহেবের বিরুদ্ধে কিছুই বলবেন না। তিনি যদি পাকিস্তান না চান, আমরাও চাই না। জিন্নাহ কে? তার নামও তো শুনি নাই। আমাদের গরিবের বন্ধু হক সাহেব।” এ কথার পর আমি অন্যভাবে বক্তৃতা দিতে শুরু করলাম। সোজাসুজিভাবে আর হক সাহেবকে দোষ দিতে চেষ্টা করলাম না। কেন পাকিস্তান আমাদের প্রতিষ্ঠা করতেই হবে তাই বুঝালাম। শুধু এইটুকু না, যখনই হক সাহেবের বিরুদ্ধে কালো পতাকা দেখাতে গিয়েছি, তখনই জনসাধারণ আমাদের মারপিট করেছে। অনেক সময় ছাত্রদের নিয়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছি, মার খেয়ে।"
বঙ্গবন্ধু ' র বাবা বলেছেন , " বাবা তুমি যাই করো শেরে বাংলার বিরুদ্ধে কিছু বলো না। শেরে বাংলা এমনি এমনি শেরে বাংলা হয়নি। "
ফজলুল হক জানতেন মাঝখানে ভারতকে রেখে পশ্চিম আর পূর্বে জোড়া দিয়ে এক পাকিস্তান করলে তা কখনো টিকবে না। ‘ জিন্নাহ আমার লাহোর প্রস্তাবের খৎনা করে ফেলেছে -বলে ফজলুল হক পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সক্রিয় থাকেননি।
১৯৪৬ এ এসে জিন্নাহ সোহরাওয়ার্দীর দুই বাংলা একত্র করে স্বাধীন যুক্তবাংলার দাবী মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু কংগ্রেসের বিরোধিতার কারণে শেষ পর্যন্ত বাংলাও ভাগ করতে হল।
ফজলুল হক বলেছিলেন, একটি পাকিস্তান কখনও টিকবে না। বাংলা এবং আসামকে নিয়ে পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্র করতে হবে।
১৯৭১ সালে এসে দেখা গেল, ফজলুল হকের আশঙ্কা এবং ভবিষ্যতবাণী সঠিক। ১৯৭১ এর মত এমন কিছু যে ঘটবে শেরে বাংলা ফজলুল হক তা আঁচ করতে পেরেছিলেন ১৯৪০ সালেই। তাই তিনি ১৯৪০ সালেই বাংলা আর আসাম নিয়ে পৃথক রাষ্ট্র করতে চেয়েছিলেন। অর্থাৎ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম স্বপ্নদ্রষ্টা হলেন শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক।
১৯৭১ এর যুদ্ধ হল ফজলুল হকের লাহোর প্রস্তাবের বাস্তবায়ন। লাহোর প্রস্তাব ফজলুল হক যেভাবে উত্থাপন করে ছিলেন সেভাবে মানলে একাত্তরে এই দেশে রক্তগঙ্গা বইত না।
পেশাজীবনে 'কলকাতা হাইকোর্টের নামকরা আইনজীবী ছিলেন। একদিন তাঁর জুনিয়র হাতে একগাদা পত্রিকা নিয়ে এসে বললেন, " স্যার , দেখুন , কলকাতার পত্রিকাগুলো পাতার পর পাতা লিখে আপনার দুর্নাম ছড়িয়ে যাচ্ছে --- আপনি কিছু বলছেন না । " তিঁনি বললেন, " ওরা আমার বিরুদ্ধে লিখছে তার মানে হল আমি আসলেই পুর্ব বাংলার মুসলমান কৃষকদের জন্য কিছু করছি। যেদিন ওরা আমার প্রশংসা করবে সেদিন মনে করবে বাংলার কৃষক বিপদে আছে। "
মুহাম্মদ ওয়াজেদ আলী বরিশাল বারের নামকরা উকিল । একবার ওয়াজেদ আলী র প্রতিপক্ষ মামলার ইস্যু জটিল হওয়ার কারণে কলকাতা থেকে তরুণ উকিল ফজলুল হককে নিয়ে আসে ওয়াজেদ আলীকে মোকাবেলা করার জন্য । ফজলুল হক ওই সময়ে কেবলমাত্র ফজলুল হক , শেরে বাংলা তখনও হননি । তিনি মামলা লড়তে এসেছেন , কিন্তু বিপক্ষের উকিল কে সেই খবর জানতেন না ।
কোর্টে এসে দেখলেন বিপক্ষে তার বাবা ওয়াজেদ আলী দাঁড়িয়েছেন । ফজলুল হক স্বাভাবিকভাবে যুক্তিতর্ক শুরু করলেন ।
এক পর্যায়ে ওয়াজেদ আলী আদালতকে উদ্দেশ করে বললেন , “ ইনি যা বলছেন তা আইনসংগত না । আইনটা হল আসলে এরকম এরকম ....... ইনি নতুন উকিল তো আইন কানুন ভালো বোঝেন না । “
উত্তরে ফজলুল হক বললেন , “ তিনি পুরাতন অভিজ্ঞ উকিল হলে কী হবে ? তিনি হচ্ছেন কৃষকের ছেলে উকিল ( প্রকৃতপক্ষে তার দাদা আকরাম আলী ছিলেন ফারসি ভাষার পন্ডিত ) , তিনি আইনের কী আর বোঝেন ? আমি হচ্ছি উকিলের ছেলে উকিল , যুক্তি আমারটাই ঠিক । “
খ্যাতির সাথে ৪০ বছর ধরে কলকাতা হাইকোর্টে ওকালতি করেছেন । আইন পাশ করার আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিজিক্স কেমেস্ট্রি আর ম্যাথমেটিক্সে ট্রিপল অনার্স করেছেন । মাস্টার্স করেছেন ম্যাথমেটিক্স এ । ছোটবেলায় একবার পড়ে বইয়ের পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলার গল্প রূপকথার মত এদেশের সবার মুখে মুখে ।
বাংলার প্রাদেশিক পরিষদের বাজেট অধিবেশনে একজন এম পি শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক কে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে বক্তব্য দিতে লাগলেন । ঐ এম পি শেরে বাংলার বিরুদ্ধে গানও লিখে এনেছেন এবং সংসদের বাজেট বক্তুতা করতে গিয়ে সেই গানটি হেলেদুলে কর্কশ কণ্ঠে গাইতে শুরু করলেন । এরকম পরিস্থিতিতে যে কারও পক্ষে মাথা ঠাণ্ডা রাখা মুশকিল ।
শেরে বাংলা ঐ এমপি র বক্তব্যের মধ্যেই বলে উঠলেন -- "Mr Speaker, I can jolly well face the music, but I cannot face a monkey."
এবার ঘটলো মারাত্মক বিপত্তি । তার মত নেতার কাছ থেকে এরকম মন্তব্য কেউ আশা করেনি । এদিকে , ঐ এম পি স্পিকারের কাছে দাবী জানালেন -- এই মুহূর্তে ক্ষমা চাইতে হবে এবং এই অসংসদীয় বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে । স্পিকার পড়লেন আরেক বিপদে -- তিনি কীভাবে এত বড় একজন নেতাকে এই আদেশ দেবেন ।
শেরে বাংলা ছিলেন ঠাণ্ডা মাথার বুদ্ধিমান মানুষ । তিনি উঠে দাঁড়িয়ে বললেন --- " Mr. Speaker, I never mentioned any honourable member of this House. But if any honourable member thinks that the cap fits him, I withdraw my remark."
'জ্ঞানতাপস প্রফেসর আবদুর রাজ্জাক তাঁর জীবনী লিখতে চান জেনে বলেছিলেন, " রাজ্জাক, সত্যি বলো, তোমার মতলবটা আসলে কী ? " প্রফেসর রাজ্জাক বললেন, " আমার এই বিষয়টা খুব ভালো লাগে ---- আপনি যখন ইংরেজদের সাথে চলেন তখন মনে হয় আপনি জাত ইংরেজ। যখন বরিশালে আসেন মনে হয় আপনি বহুবছর ধরে নিজেই কৃষিকাজ করেন। আবার যখন কলকাতায় শ্যামাপ্রসাদ বাবুকে ভাই বলে ডাক দেন তখন আপনাকে আসলেই হিন্দু মনে হয়। আবার যখন ঢাকার নবাব বাড়িতে ঘুড়ি উড়ান তখন মনে হয় আপনিও নবাব পরিবারের একজন । নিজেকে কেউ আপনার মত এত পাল্টাতে পারে না। আপনি যাই বলেন, সত্য হোক -- মিথ্যা হোক, মানুষ বিনা দ্বিধায় তা বিশ্বাস করে। "
মহাত্মা গান্ধী র নাতি রাজমোহন গান্ধী তার বইতে লিখেছেন -- তিন নেতার মাজারে তিনজন নেতা শায়িত আছেন যার মধ্যে দুজন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন । একজনকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে দেওয়া হয়নি, অথচ তিনিই ছিলেন সত্যিকারের বাঘ ।
কিন্তু এটা তার জীবনের কোনো অপূর্ণতা নয়, একমাত্র রাষ্ট্রপতি হওয়া ছাড়া সম্ভাব্য সব ধরনের পদে তিনি অধিষ্ঠিত ছিলেন জীবনের কোনো না কোনো সময়ে । তিনি ছিলেন বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী, পূর্ব বাংলার তৃতীয় মুখ্য মন্ত্রী; পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পূর্ব - পাকিস্তানের গভর্নর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ।
সর্বভারতীয় রাজনীতি ছেড়ে শুধু পূর্ববাংলার রাজনীতি কেন করছেন এই প্রশ্নের উত্তরে ফজলুল হক বলেছিলেন -- এরোপ্লেন এ উঠলে নিচের জিনিস ছোট আর ঝাপসা দেখাতে পারে, তাই আমি মাটিতেই থাকছি । রাজনীতির এরাপ্লেন এ না চড়লেও সৌদি বাদশাহ সউদ ফজলুল হকের সাথে একটা মিটিং করার জন্য নিজের ব্যক্তিগত বিমান পাঠিয়েছিলেন ফজলুল হককে নিয়ে যাওয়ার জন্য ।
অসীম সাহসী এই মানুষটি আমাদেরকে সকল অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে নির্ভয়ে প্রতিবাদ করার কথা বলেছেন। বাঙালী জাতিকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন অনেক আগেই । তিনি বলেছেন, যে জাতি তার বাচ্চাদের বিড়ালের ভয় দেখিয়ে ঘুম পাড়ায়, তারা সিংহের সাথে লড়াই করা কিভাবে শিখবে ?
আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় ছিলেন ফজলুল হকের শিক্ষক। আবুল মনসুর আহমদের সাথে আলাপচারিতায় ফজলুল হক সম্পর্কে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের মন্তব্য :
"ফযলুল হক মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত খাঁটি বাঙ্গালী।সেই সঙ্গে ফযলুল হক মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত খাঁটি মুসলমান।খাঁটি বাঙ্গালীত্বের সাথে খাটি মুসলমানত্বের এমন অপূর্ব সমন্বয় আমি আর দেখি নাই। ফযলুল হক আমার ছাত্র বলে বলছিনা, সত্য বলেই বলছি।খাঁটি বাঙ্গালীত্ব ও খাটি মুসলমানত্বের সমন্বয়ই ভবিষ্যৎ বাঙ্গালীর জাতীয়তা।"
রেফারেন্স: আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর।(পৃষ্ঠা ১৩৫-৩৬)
পহেলা বৈশাখের সরকারি ছুটি, বাংলা একাডেমির প্রতিষ্ঠা এই ফজলুল হকের অবদান । কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে ফজলুল হক মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন কারণ কৃষক--শ্রমিক সংখ্যাগরিষ্ঠ এই উপমহাদেশে মাত্র একজন ব্যক্তি কৃষকদের জন্য রাজনীতি করেছেন । তিঁনি হলেন -- শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ।
১৯৪৮ সালে ঢাকায় এসেছিলেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার কথা বললে ছাত্ররা তীব্র প্রতিবাদ করে। জিন্নাহ ছাত্রদের সাথে বৈঠকও করেন। কিন্তু ছাত্ররা ছিল নাছোড়বান্দা। জিন্নাহর ধারণা হলো, ফজলুল হক ছাত্রদেরকে উসকানি দিচ্ছেন। ফজলুল হকের বুদ্ধিতে ছাত্ররা উর্দুর বিরোধিতা করছে। জিন্নাহ এবার ফজলুল হকের সাথে দেখা করতে চাইলেন। কিন্তু ফজলুল হক দেখা করতে রাজি হলেন না। ফজলুল হক জিন্নাহকে ব্যক্তিগতভাবে অপছন্দ করতেন।
জিন্নাহর পীড়াপিড়িতে শেষ পর্যন্ত রাজি হলেন ফজলুল হক। বন্ধ দরজার আড়ালে কথা হয়েছিল দুই মহান নেতার। কিন্তু ইংরেজিতে কী ধরনের বাক্য বিনিময় হয়েছিল তাদের মধ্যে পরবর্তীতে তা লিখেছেন ফজলুল হকের একান্ত সহকারী আজিজুল হক শাহজাহান --
জিন্নাহ : পাকিস্তান তো তুমি কোনোদিন চাওনি। সব সময়ে বিরোধিতা করে এসেছো।
হক : প্রস্তাবটি তো আমিই করেছিলাম। পরে ওটার খতনা করা হয়েছে। আমি এটা চাইনি।
জিন্নাহ: পাকিস্তানের এই অংশ বেঁচে থাক তা তুমি চাও না। তাই ভারতের কংগ্রেসের টাকা এনে ছাত্রদের মাথা খারাপ করে দিয়েছ। তারা আমাকে হেস্তনেস্ত করছে।
হক: আমি এখানে কোনো রাজনীতি করি না। হাইকোর্টে শুধু মামলা নিয়ে চিন্তা করি। আইন আদালত নিয়ে থাকি ।
জিন্নাহ : জানো, তুমি কার সাথে কথা বলছো ?
হক: আমি আমার এক পুরোনো বন্ধুর সাথে কথা বলছি।
জিন্নাহ: নো নো, ইউ আর টকিং উইথ দ্য গভর্নর জেনারেল অব পাকিস্তান ।
হক: একজন কনস্টিটিউশনাল গভর্নর জেনারেলের ক্ষমতা আমি জানি।
জিন্নাহ: জানো, তোমাকে আমি কী করতে পারি ?
হক: (ডান হাতের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে) তুমি আমার এ্যাই করতে পারো। মিস্টার জিন্নাহ, ভুলে যাওয়া উচিত নয় এটা বাংলাদেশ এবং তুমি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সাথে কথা বলছ।
(আজিজুল হক শাহজাহানের কলাম,অমরাবতী প্রকাশনী,ঢাকা;পৃষ্ঠা ৪৬-৪৭)

Collected.

IDAB in Sylhet beautiful scennery in Bangladesh

মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল, ২০২১

জীবন বীমায় বাস্তব জীবনের গল্প

 টাকা উড়ানো সহজ উপার্জন নয়! শিল্পপতি লোহানী সাহেবের ছেলের বাস্তব জীবনের গল্প

ঘটনাটি ১৯৯৭ সনের, আমি আমার শিল্পপতি বাবা লোহানী সাহেবের একমাত্র ছেলে রবিন চৌধুরী। তখন আমি এ লেভেলের ছাত্র। একে তো শিল্পপতির ছেলে তার উপর ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশুনা করি ভাবই আলাদা। ফ্রেন্ডস নিয়ে ক্লাবে ক্লাবে পার্টি, ট্যুর, নতুন নতুন ড্রিংকস করা, সব কিছু মিলিয়ে অন্য রকম একটা মাস্তির লাইফ কাটছিল।
বন্ধুদের মধ্যে আমার লিডার লিডার একটা ভাবছিলো। তার কারন আমি সবচেয়ে বেশি খরচ করতাম। একদিন প্লান করলাম বন্ধুরা মিলে থাইল্যান্ড যাব ট্যুরে। আর আমার এইবারের বার্থডে সেখানেই সেলিব্রেট করবো। এর মধ্যে আমার দুই বন্ধু একটু গরীব তাদের খরচ আমাকে বহন করতে হবে।
আজ বাবা বাসায় ড্রয়িং রুমে বসে কফি খাচ্ছে। বাবার সামনে যেতেই আমি কিছু বলার আগে বাবা বললো এমাউন্ট কতো?? না মানে বাবা সামনে আমার জন্মদিনতো তাই মানে এই আর কি। বাবা উচ্চ স্বরে রেগে গিয়ে বললো আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করেছি এমাউন্ট কত?? ২ লক্ষ বাবা। হুম!!!
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান তুমি। জন্ম নিয়ে এই জাতিকে কৃতার্থ করেছ, তোমার জন্মদিনে মাত্র ২ লক্ষ টাকা খরচ হবে কম হয়ে গেলনা??? এর মধ্যে মা চলে আসছে। কি হয়েছে?? আমাদের একমাত্র ছেলে এই সম্পদ সব কিছুইতো একদিন ওর হবে। দিয়ে দাও, ওর মনে কষ্ট দিওনা। আমি যদি আমার ছেলেকে একটা উড়ন্ত বিমানের পাইলটের সিটে বসিয়ে তোমার ছেলের উপর প্লেনের দ্বায়িত্ব দিয়ে নেমে পরি। তখন কেমন হবে তুমিই বল?
শোন রবিনের মা এই সম্পদ একদিনে আসেনি। এর দ্বায়িত্ব নিতেও নিজেকে যোগ্য করে তুলতে হয়। ঠিক আছে আমি তোমার ছেলেকে ২ লক্ষ টাকা দিব যদি সে আগামীকাল আমাকে পরিশ্রম করে ২০০ টাকা উপার্জন করে এনে দিতে পারে। সারা রাত নাক ডেকে ঘুমিয়েছি মাত্র ২০০ টাকা লুল, বাবা আগামী কালই দেখতে পারবে আমি তার সম্পদের দায়িত্ব নেয়ার মতো যোগ্য হয়েছি।
পরের দিন সকাল ৭ টায় বাবা আমাকে ডেকে ঘুম থেকে উঠিয়ে দিল। কি যে বিরক্ত লাগছিল মাত্র ২০০ টাকার জন্য এতো সকালে ঘুম থেকে উঠতে হবে?? রেডি হয়ে একে বারে ফুল বাবু সেজে ২০০ টাকা উপার্জন করতে বের হয়েছি। পকেটে এক টাকাও নাই সাথে বাবা একজন স্পাইও দিয়েছে।
ঘর থেকে বের হওয়ার পর এখন মনে হচ্ছে আমি একটা সমুদ্রের মাঝে পরে গেলাম। বিনা পুঁজিতে টাকা কোথায় পাই। কার কাছে থেকে ধার করতে পারছি না, কারো সাহায্য নিতে পারছিনা। ভিক্ষাও করতে পারবো না। ভাবতে ভাবতে দুপুর হয়ে গেল। অবশেষে একটা রিক্সার গ্যারেজে গেলাম, মনে মনে ভয়ও পাচ্ছিলাম অনেক মানুষ আছে রিক্সাওলার গায়ে হাত তুলে যদি আমাকে কেউ রিক্সাওয়ালা ভেবে মারে??
তখনি বিবেক আমাকে বুঝিয়ে দিল রিক্সাওয়ালাও আমারি মতো মানুষ। তাদের গায়ে হাত তুলা অন্যায়। রিক্সার গ্যারেজে গেলাম কিন্তু অপরিচিত মানুষকে তারা রিক্সা দিবেনা। হঠাৎ মাথায় বুদ্ধি এলো রিক্সা না পেয়েছিতো কি হয়েছে রিক্সা ঠেলতেতো পারবো। আমি আমার বাবার ছেলে এতো সহজে হার মানবোনা। তখন উচুঁ উচুঁ ব্রিজগুলোকে পেছন থেকে একজনকে রিক্সাওলার সাথে ঠেলে উঠিয়ে দিতো হতো। বিনিময়ে যাত্রীরা ১ টাকা করে দিতো।
জীবনে কোন কাজ করিনি, এক গ্লাস পানিও নিজে ঢেলে খাইনি। আর আজ তপ্ত রোদে রিক্সা ঠেলেছি, এই ভাবে ১ ঘন্টায় ১০ টা রিক্সা ঠেলে ১০ টাকা উপার্জন করেছি, ১১ নাম্বার রিক্সা ঠেলতে গিয়ে পরে হাঁটু ছিলে গেল। আবার উঠে দাড়ালাম। যখন যাত্রী আমার হাতে ১ টাকার একটা কয়েন দিচ্ছিল তখন চোখ দিয়ে কেন যেন কান্না চলে আসলো। ঘন্টা খানেক পর হাঠুর ব্যথা আরো তিব্র হতে লাগলো।
সন্ধ্যা পর্যন্ত গুনে দেখি মাত্র ৪০ টাকা হয়েছে। আর পারছি না।




প্রচন্ড ক্লান্ত হয়ে মনে হচ্ছে শরীরও যেন নিজের সাথে প্রতারণা করছে, আমার সঙ্গ ছেড়ে দিচ্ছে। অবশেষে ৪০ টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেলাম। বাবার সামনে গিয়ে দাড়ালাম ৪০ টাকা বাবার হাতে দিয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বললাম, আমি পারিনি বাবা। ভেবেছিলাম আমার বিধ্বস্ত ক্লান্ত চেহারা, হাঠুর কাছে ছেঁড়া পেন্ট দেখে বাবাও হয়তো কেঁদে দিবে। হয়তো আমার মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দিবে।
না সে এগুলো কিছুই করেনি। বরং আমাকে বললো এখন আমার সাথে ধানমন্ডি থেকে হেঁটে বুড়িগঙ্গা সেতুর কাছে যাবে, কোন প্রশ্ন না।
আমি অবাক হলাম। এখন মনে হচ্ছে তিনি সত্যিই একজন ব্যবসায়ী। এরপরেও প্রশ্ন করলাম বাবা হেঁটে কেন। তিনি বললেন বাবা আমিতো আজকের এই পজিশনে এই ভাবে একটু একটু করেই এগিয়ে এসেছি। গাড়ি বা বিমানের গতিতে আসিনি। তুমিতো মাত্র একদিন কষ্ট করছো। একটু ধৈর্য ধর।
বাবাকে কি করে বুঝাই আমার ক্লান্তির কথা। এর চাইতে মৃত্যু যন্ত্রণা অধিক শ্রেয়। বাবা আমার হাত ধরে হাটতে হাটতে রাত তিনটায় আমরা ব্রিজ উঠলাম। শান্ত নদী ব্রিজে আমি আর বাবা। ব্রিজের রেলিং ধরে দাড়িয়ে বাবা আমাকে বললো দেখ রবিন নিচের কেমন অথৈই পানি টলমল করছে। তুমি আমার হাতে ৪০ টাকা দিয়েছে তাই না!!
জ্বি বাবা, আমার জীবনের প্রথম উপার্জন। আমি জানি রবিন এই টাকা গুলো উপার্জন করতে তোমার অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। এখন তোমাকে যা বলি শোন। আমি জানি আমার ছেলে ছোট বেলা থেকেই ম্যাথমেটিক্সে খুবই ভাল। তাহলে ভাল গুনতেও পারো আশা করি। এখন আমি তোমার উপার্জনের ৪০ টাকা দূরে পানিতে ছুড়ে ফেলবো আর তুমি বলতে থাকবে বাকি কয়টা রইলো।
বাবার কথা শুনে আমার চোঁখে আবার পানি চলে আসলো। বাবা তার সমস্ত শক্তি দিয়ে একটা কয়েন সেতু থেকে দূরে পানিতে ছুড়ে ফেলে বললো রবিন এখন কয়টা রইলো। আমি কাঁদতে কাঁদতে বললাম বাবা ৩৯ টা। এই ভাবে এক এক করে আমার চোখের সামনে আমার জীবনের প্রথম উপার্জিত এতো কষ্টের সব গুলো টাকা পানিতে ফেলতে লাগলো আমি এক এক করে গুনছি।
এমন একটি পরিস্থিতির বর্ননা দেয়ার ভাষা আমার জানা নেই। শুধু জানি আমার চোঁখ থেকে ঝরে পরা প্রতিটি অস্রু যেন কেরোসিনের তেলের মতোই আমার হৃদয়কে পুড়িয়ে ছাই করে দিচ্ছে। বাবা আমার গায়ে কোন দিন হাত তুলেননি, কোন দিন একটা বকাও দেয়নি, আজ মনে হচ্ছে সব সুদে আসলে পুসিয়ে নিচ্ছে। শেষের টাকাটা বাবা ফেলোনা।
তারপর বললো রবিন তোমার উপার্জনের ৪০ টাকা আজকে আমি নষ্ট করতে তুমি কাঁদলে আর আমার কতো টাকা তুমি এইভাবে নষ্ট করেছো কোথায় আমিতো একবারও কাঁদিনি। তোমার অনুভুতিতে যেমন কষ্ট লাগেছে আমারও ঠিক তেমনি অনুভূতি আছে কষ্ট উপলব্ধি করার জন্য। তোমার শেষের টাকা আমি রেখে দিলাম এটা আমার সন্তানের প্রথম উপার্জিত টাকা এটা এক জন পিতার জন্য গর্বের একটা প্রাপ্তি, এটা সৃতি হিসেবে আমি মৃত্যু পর্যন্ত সাথে রাখবো।
তুমি কাল তোমার মায়ের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা নিয়ে নিও। বাবার এই কথা গুলো শুনার পর নিজেকে বড় বেশি অপরাধী মনে হচ্ছিল। আবেগ আর ধরে রাখতে পারছিলাম না। আমি বাবাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে কান্না করতে করতে বললাম বাবা আমার টাকা লাগবে না। আমি এতো দিন স্কুলে কলেজে কিছুই শিখিনি, যেটা তুমি আজকে শিখালে, তুমি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাবা। একজন আদর্শ বাবার চাইতে বড় শিক্ষক কেউ হতে পারেনা। একজন আদর্শ পিতাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষক। 
logo
  • বীমা সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সৃষ্টি বাংলাদেশের সর্বপ্রথম বীমা ব্লগে আপনাকে স্বাগতম

বীমা বিক্রয়ে সফলতার সহজ কৌশল

একটি বীমা পরিকল্পনা প্রস্তাব জুড়ে ভাল ফলাফল প্রাপ্তির নিয়ন্ত্রিত উপায় :-

একটি নতুন ক্রেতা সাধারণত পরিষেবা বা পণ্য থাকার সাথে শুভেচ্ছার সাথে প্রয়োজনীয়তাগুলি পূরণ করতে চান। এই জাতীয় ক্ষেত্রে, মালিক যথেষ্ট দক্ষতার সাথে ক্রেতার কাছে দাবিগুলির সাথে প্রয়োজনীয়তার সাথে সম্পর্কিত একটি ফিল তৈরি করতে পেরেছেন। দক্ষতার সাথে আরও ভাল একটি নতুন আয়ের এজেন্ট এটি করতে সক্ষম হবেন, আরও ভাল ফলাফল ভাল হতে চলেছে। কেবল এই জন্য, আপনার আয়ের এজেন্টকে আপনার ক্রেতার কাছে থেরাপি সনাক্ত করার ক্ষমতা সহ আপনার চিন্তাভাবনা এবং দক্ষতা থাকতে হবে। তারা সাধারণত আয়ের ক্রিয়াকলাপটি বেশ যুক্তিসঙ্গতভাবে সম্পন্ন করার চেষ্টা করবে। আয়ের সাধনাগুলি চালিয়ে যাওয়ার সময়ে লাভজনক হওয়ার জন্য, আপনার আয় এজেন্টের নিয়ন্ত্রিত আয়ের পদ্ধতির পাশাপাশি আপনার সংস্থায় আরও ভাল হওয়া উচিত। কেবলমাত্র একটি আসল কৌশল অনুসরণ করে আয়ের এজেন্ট, পাশাপাশি আয়ের, ক্রয়-বিক্রয় লাভজনক হতে পারে। আপনার সমস্যা পৃথিবীতে আয় কি হতে পারে? আপনার আয় কখনও শেষ না হওয়া চক্রটি প্রায়শই নিয়ন্ত্রিত আয় কখনও শেষ না হওয়া চক্রের সাথে সজ্জিত, পরিচালনা করা হয়। আয়ের শেষ না হওয়া চক্রের আপনার বৈশিষ্ট্যগুলি সাধারণত অনুসরণের সময় হয় - আপনার আয় কখনই শেষ না হওয়া চক্রটি মূলত ব্যবস্থা গ্রহণের ক্রম নির্বাচনের কোর্স। এই ক্রিয়াকলাপের মধ্যে, সম্ভাব্য ক্রেতার কাছে শুভেচ্ছাসহ আপনার চাওয়াগুলি সাধারণত এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় যে এই সম্ভাব্য ক্রেতাকে প্রায়শই শুভেচ্ছাসহ প্রয়োজনীয়তার সাথে সম্পর্কিত পরামর্শ দেওয়া হয়। আপনার ইনকাম এজেন্ট অবশ্যই আপনার অনুমোদিত সিস্টেমকে বিশ্বাস করবে। বিক্রয় হয়েছে তিনি নিখুঁত বিকল্প হিসাবে আপনার এজেন্ট দ্বারা সরবরাহিত প্রদত্ত প্রস্তাবনাগুলি (পণ্যগুলির পাশাপাশি পরিষেবাগুলি) প্রায় অবশ্যই আবিষ্কার করবেন। আপনার আয়ের ক্রিয়াকলাপ ক্রেতাদের চেয়ে সত্যই অনেক কম জটিল ঘন ঘন অবহিত করা হয়। আয় কখনও শেষ না হওয়া চক্র জড়িত 6 টি পদক্ষেপ: একটি বিশেষ: লিড জেনারেশন লিড জেনারেশনের সাথে জড়িত মূল নীতিটি যতটা সম্ভব দর্শকদের কাছে আসা উচিত। বীমা পরিকল্পনা কাজের ভিতরে আপনার উদ্দেশ্যগুলিকে আঘাত করতে, প্রতিটি একক উপদেষ্টা, পাশাপাশি একটি বীমা সংস্থা, কমপক্ষে 100 জন শ্রোতাকে ব্র্যান্ড করেছে, প্রয়োজনীয় ডেটা সহ হ্যান্ডেল ব্যবহার করে গ্রাহক বেস থাকতে হবে। ভুলে যাবেন না যে কোনও কর্মী শূণ্য কর্মসংস্থান না হওয়া অবধি তার কর্মস্থলে পরিণত হয় না। বিভাগীয় বৈশিষ্ট্যগুলি সম্পন্ন করার জন্য তার একজন শূন্য অধীনস্থ কর্মী সদস্য না হওয়া পর্যন্ত একজন নতুন বস কর্মচারী হিসাবে পাশাপাশি চাকরিবিহীন হয়ে উঠবেন। এটি অবশ্যই বীমা সংস্থার সময় যাদের শূন্য শ্রোতা রয়েছে তাদের জন্য ছাঁটাই করে নিন। একটি নতুন লাইফস্টাইল বীমা সংস্থা দর্শকদের জড়িত নতুন ফাইল স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক তাড়াতে হবে। এটি অবশ্যই গ্রাহকের ব্র্যান্ড, হ্যান্ডেল, নম্বর, ক্রেতার অনুরূপ যুক্ত করবে বয়স্ক হওয়া, নগদ প্রবাহ, সম্পর্কের অংশীদার খ্যাতি, অল্প বয়সী বাচ্চাদের পরিমাণ, বিনিয়োগযোগ্য নগদ প্রবাহ, কয়েকটি সর্বশেষতম আর্থিক কৌশল, প্রিয়জনের জন্মদিন এবং আরও অনেকের সাথে শুরু হওয়া সম্পদের সংখ্যা। একটি দুর্দান্ত এক বিশেষ সর্বোত্তম মানের পাশাপাশি, গ্রাহকরা আপনার ভাল ফলাফলগুলি ইনকাম এজেন্টে দ্রুত করতে পারে। এই জাতীয় ক্ষেত্রে, সম্ভাব্য ক্রেতা চক্র সম্পর্কে খুব ধারণা সমালোচনাযোগ্য। একজন নতুন রাজনীতিবিদ নিজে বাঁচবেন না। তার সহকর্মীদের সাথে পরিবারের সদস্যদের নেটিটিস, প্রিয়জন এবং বন্ধু রয়েছে। ক্ষেত্রে বিবেচিত ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে একটি বন্ধুর যথেষ্ট গ্রুপের মাধ্যমে হতে পারে তবে এই গ্রুপ এবং বন্ধুদের বন্ধুদের জুড়ে মহিলারা যথেষ্ট এতে আর্থিক ক্ষেত্রের পাশাপাশি সংস্কৃতি থাকবে। ফলস্বরূপ, অনেক শ্রোতা যে এই ক্রেতাকে অ্যাবিংয়েবলের সাথে সম্পর্কিত বলে মনে হচ্ছে তারা সংস্থায় সম্প্রসারণের অভ্যন্তরে একটি দুর্দান্ত অবস্থানে অংশ নিতে। গ্রাহকদের (এসপি) সন্ধানের সময় কখনই ভুলে যাবেন না এসপি = মানুষকে আবিষ্কার করুন- প্রায়শই পুরুষ এবং মহিলাদের সাথে দেখা করেন। এগুলি দিয়ে খুব ভাল সংক্রমণ রাখুন। জরিপের পাশাপাশি এগুলির সাথে সহানুভূতিপূর্ণ অংশীদারিত্ব তৈরি করুন। এসপি = প্রতিকার জনগণের সমস্যা- প্রায়শই দয়া করে পুরুষ এবং মহিলাদের দিকনির্দেশনা করে একটি সহায়তা দৃষ্টিকোণ নিন। ব্যক্তিগতকৃত ঝামেলা সহ তার বা তার অর্থবছরের মোকাবেলায় সহায়তা করুন এসপি = সহায়তা জনগণ- প্রায়শই তাদের বা তার বন্ধুদের সাথে আলাদা করুন সহায়তার বর্তমান ফর্ম। অসুস্থ ও ক্লান্তের প্রতি সহানুভূতির পাশাপাশি এটি সাধারণত আর্থিক, সাংস্কৃতিক, অর্থবহ। আপনাকে বিবেচনা করতে হবে - "গ্রাহক হবেন রাজা" - (গ্রাহক রাজা হবেন) কৌশল এবং প্রাক-পদ্ধতির একটি জুড়ি এটি আয় হতে পারে সাধনাগুলির অন্য বিষয়। একাধিক পদ্ধতির মাধ্যমে এটি সম্পাদন করা যেতে পারে।



যে কেউ কেবল মোবাইল ফোনে শপিং ব্যবহার করার সময় সংক্রমণ শুরু করতে পারে। এই মুহুর্তে, কারণ যাই হোক না কেন, কেউ আপনার বর্তমান পণ্য বা পরিষেবার পাশাপাশি বীমা পরিকল্পনার ঝামেলাও যত্ন করে take মোবাইল ফোনের জন্য একটি ফড়িং ব্যবহার করার সময় কোনও আড্ডায় নজর দেওয়া উচিত নয়। যে কেউ অন্যভাবে এই ধারণা ঘোষণা করে। মিঃ শাহেদ সাহেবের অনুরূপ আমাদের একটি দুর্দান্ত ধারণা পাশাপাশি একটি বিকল্পও রয়েছে। আপনি যদি কেবল আমাদের 5 টি ইউনিট সরবরাহ করতে চান তবে আমাকে এই সিস্টেমটি সাথে সাথে এই নির্দিষ্টটিতে ফোকাস দেওয়ার সুযোগ দিন। এটা ঠিক হতে পারে? (এটি কি উপযুক্ত হবে?) পরবর্তী: আপনি সঠিকভাবে ক্রেতার সাথে পরামর্শ করতে সক্ষম হবেন।

জীবন বীমার প্রয়োজন কেন

 কেন জীবন বীমা কভারেজ প্রয়োজন?

 অস্তিত্বের বিষয়টি যখন আসে তখন সমস্যাগুলি আসতে পারে, সুতরাং অস্তিত্বকে আটকাতে হবে না, অস্তিত্বকে তার প্রকৃত গতি থেকে এগিয়ে যেতে হবে। ঠিক সময়কালের মতো এবং জল থেকে বর্তমান কারও জন্য অপেক্ষা করে না, অতএব কারও পক্ষে অস্তিত্ব থামে না। তাদের পেশাগত দিক থেকে কিশোর বয়সে লোকের কৌশলগুলির মতো, তাদের জীবন পেশা শুরু হয়। যেমন আপনি শিশু হিসাবে বছর আগে থেকেই অনুরোধ করে চলেছেন, আপনার জীবনের কোনও সংস্থার অ্যাকাউন্ট বা এমনকি কোনও শুল্ক নেই, ঠিক তেমনি আপনি যখনই চাকরির অস্তিত্বের চাবিকাঠি চালানোর পাশাপাশি সংরক্ষণের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে।



কেবলমাত্র এই দিনগুলিতে আপনি 2, পরের দিন আপনি 3, পরের দিন আপনার 4 দিন হওয়ার পরে This এর অর্থ আপনার নিজের পক্ষে আর না থাকার প্রবণতা, আপনার প্রয়োজনের একটি বড় প্রিয়জন পেয়েছেন দেখাশুনা করা. আপনার নিজের দীর্ঘমেয়াদী অস্তিত্বের সুবিধাগুলি বা প্রবীণ বছরগুলির প্রকৃত আর্থিক সুরক্ষা প্রশংসা করতে সক্ষম হওয়ার জন্য আপনার আয়ের গ্যারান্টি বা এমনকি সংরক্ষণ করা উচিত, এটি আপনার পরিবারের ক্ষেত্রে আরও ভাল পরিবেশ প্রদান করবে।

আপনি কি জীবন বীমা কভারেজ এর সুবিধা জানেন? ব্যয় সাশ্রয়, ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট, ডিপিএস, ব্যয় সাশ্রয় সম্পর্কিত বাস্তব পরিকল্পনা অনুসারে, আপনি জীবন বীমা কভারেজ ছাড়াও সম্ভাবনাগুলি সন্ধান করবেন তাদের সকলের একটি অংশেই খুব কম নয়, তারা ঠিক সত্ত্বেও অস্তিত্বের সাথে জড়িত আর্থিক সুরক্ষা সরবরাহ করে একই সুবিধা।

  • জীবন বীমা কভারেজ অস্তিত্বের পাশাপাশি বাড়ির তুলনায় আর্থিক সুরক্ষা সরবরাহ করে
  • মানুষের প্রশান্তি সরবরাহ করে
  • তহবিল উত্পাদন করে
  • সিনিয়র বছরের মধ্যে বা এমনকি ঝুঁকি নিয়েও
  • সংস্থাটি আসলে অর্থায়ন করে
  • মূল্যস্ফীতি হ্রাস করে
  • আন্তঃব্যক্তিক বাড়ির সাথে সম্পর্কিত সুরক্ষা সরবরাহ করে

বীমা কভারেজ ঘটনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি পরীক্ষা করা?

নিশ্চিত করুন যে তথ্যটি সঠিকভাবে আচ্ছাদিত পরামর্শের মধ্যে ডকুমেন্টেড রয়েছে

বীমা প্রদানকারী কখন আর্থিক সামর্থ্য বা এমনকি সক্ষমতা সরবরাহ করে তা নির্ধারণ করা

নিশ্চিত করুন যে আপনার ডেটা আসলে আচ্ছাদিত রেকর্ডের মধ্যে ডকুমেন্টেড রয়েছে

বীমা সরবরাহকারীর কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া পরামর্শকের কাছ থেকে সঠিক নথি বা এমনকি কাগজপত্র যথাযথ হতে থাকে কিনা তা দেখে।

আপনি কি জীবন বীমা কভারেজ এর সুবিধা জানেন? বীমা কভারেজ কেবল একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ে অনেক বেশি ইঙ্গিত করে। জীবন বীমা কভারেজ আসলে তৈরি দেশগুলির মধ্যে অনেক বেশি প্রশংসা করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, এশিয়া, যুক্তরাজ্য, উত্তর আমেরিকা, কোরিয়ার পাশাপাশি ভারতীয়, জীবন বীমা কভারেজটি বিশেষভাবে পরীক্ষা করা হয়।

উদাহরণস্বরূপ, যারা ডিপিএসকে চূড়ান্তভাবে ব্যবহার করেছেন, এখনই আপনি ঠিক একই অ্যাকাউন্টগুলির মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যে সুবিধাটি অর্জন করছেন তা হ'ল ডাউন পেমেন্ট থেকে সঠিক সুরক্ষা + আর্থিক ডিপিএস শিল্প বন্ধকী পরিষেবাটি ফেরতযোগ্য সুবিধার পাশাপাশি বাক্যাংশ থেকে উপসংহার। সংযুক্ত ব্যয়ের পাশাপাশি সমস্যাগুলিও আসল পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রয়োগ করা যেতে পারে। অস্তিত্ব বীমা ক্ষেত্রে - আর্থিক আপনার শারীরিক প্রতিবন্ধকতা বা এমনকী দুর্বলতায় উচ্চমানের ছাড়ের পাশাপাশি বাক্যটি থেকে উপসংহারে সুবিধার সাথে ফেরতযোগ্য ref একশো আশি বার অনুসরণ করে, severe গুরুতর অসুস্থতার মধ্যে যে কোনও ধরণের ঘটনা ঘটলে, পুরো বীমা কভারেজ পরিমাণ + স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় পাশাপাশি নিয়মিত সময়কাল থেকে উপসংহারে সুবিধাগুলি সহ ফিরে আসুন। জৈব পাসের ঘটনায় বীমা কভারেজ সম্পর্কিত অর্থ প্রদান। পাশাপাশি অজান্তেই চলে যাওয়ার ঘটনায় প্রকৃত বীমা কভারেজের পরিমাণটি আসলে তিনগুণ + সহায়তা পরিষেবা। উদাহরণস্বরূপ 8 টি অসুস্থতা -

  • হার্ট স্ট্রোক
  • সর্বাধিক ক্যান্সার (ছিদ্র এবং ত্বকের ক্যান্সার বাদে)
  • প্রথম কেন্দ্র আক্রমণ
  • করোনারি আর্টারি শল্য চিকিত্সা
  • অতিরিক্ত গুরুতর করোনারি ধমনী শল্য চিকিত্সা অসুস্থতা
  • কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ ডিভাইস শল্য চিকিত্সার বিকল্প
  • ফুসফুস ধমনী উচ্চ রক্তচাপ
  • মাইন্ড গ্রোথগুলি যা বেশিরভাগ ক্যান্সারের সাথে জড়িত আকৃতিটি সত্যই বিবেচনা করে না।

সোডিয়াম পাওয়ার জন্য কোনও সুবিধা থাকতে পারে? লাইফ ইন্স্যুরেন্সের কভারেজ, যেমন একটি আর্থিক সংস্থার মতো, অর্থ প্রাপ্তির সুবিধা দেয়, সুতরাং আসল ডিপিএসটি বিভক্ত করার জন্য আপনার দরকার নেই। আর্থিক প্রতিষ্ঠান রাজ্যগুলি বা জীবন বীমা কভারেজ রাজ্য নির্বিশেষে, ব্যক্তিগণকে অস্তিত্বের সাথে জড়িত চূড়ান্ত সময়ে উপকারের জন্য নিকট ভবিষ্যতে বিবেচনার জন্য নগদ বাঁচাতে এই ধরণের ব্যয় সাশ্রয় বা এমনকি ধ্বংসাবশেষ তৈরি করতে সহায়তা করতে হবে individuals । প্রয়োজন হয়. তাই প্রকৃত প্রাণবন্ত দীর্ঘমেয়াদী সন্ধানের জন্য, প্রত্যেকেরই তাদের আয়ের একটি সামান্য অংশ সংরক্ষণ করা উচিত যা হুমকি বা এমনকি অনন্য দুর্দান্ত কর্মের ক্ষেত্রে কার্যকর।

জীবন বীমা কি

 উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জীবন বীমা এমন একটি চুক্তি যা একজন বীমা গ্রহীতা ও একটি বীমা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্পাদিত হয়; যেখানে বীমা প্রতিষ্ঠান এই মর্মে নিশ্চয়তা প্রদান করে যে বীমা গ্রহীতার মৃত্যু হলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বীমা গ্রহীতার উত্তরাধিকারীকে প্রদান করবে। চুক্তির শর্তানুসারে কখনো কখনো মারাত্মক অসুস্থ হলেও বীমা গ্রহীতা অর্থ পেয়ে থাকে। বীমা গ্রহীতা সাধারণতঃ এককালীন বা নির্দিষ্ট সময়ান্তে বীমা কর্তৃপক্ষকে নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ প্রদান করে থাকে।
বীমা গ্রহীতার সুবিধা হচ্ছে "মানসিক প্রশান্তি" লাভ; কারণ তিনি জানেন যে তার মৃত্যুর পর তার উত্তরাধিকারীরা অর্থ সমস্যায় পতিত হবে না।
এই পদ্ধতিটিতে অবসর গ্রহণের পর আর্থিক সুবিধা লাভের জন্যও ব্যবহার করা হয়, যদি বীমা গ্রহীতা সতর্কতার সাথে বীমা গ্রহণ করেন ও শর্তাবলীতে এরূপ উল্লেখ করেন।
জীবন বীমা একটি আইনগত চুক্তি এবং চুক্তির শর্ত বীমার আওতা দ্বারা সীমাবদ্ধ। এখানে বিশেষ শর্তাবলী লিখিত থাকে এবং তার দায় বীমা গ্রহীতার উপর বর্তায়; যেমনঃ আত্মহত্যা, যুদ্ধ প্রভৃতি কারণে মৃত্যু ঘটলে বীমা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বীমা গ্রহীতার উত্তরাধিকারীকে কোনোরূপ অর্থ প্রদান করা হয় না।
জীবন-নির্ভর চুক্তি দুটি প্রধান ধারায় বিভক্ত:
  • নিরাপত্তা পলিসি
  • বিনিয়োগ পলিসি